ঢাকা ০৫:২৫ অপরাহ্ন, সোমবার, ১০ নভেম্বর ২০২৫, ২৬ কার্তিক ১৪৩২ বঙ্গাব্দ
সংবাদ শিরোনাম :
Logo ভালো-মন্দের উল্টো হিসাব নিজেকে না দেখে অন্যকে দোষারোপের সংস্কৃতি সমাজকে কোথায় নিয়ে যাচ্ছে? Logo আশুলিয়ায় অবৈধ ইটভাটায় অভিযান, ছয়টি ইটভাটা বন্ধ করলো প্রশাসন । Logo আশুলিয়ায় ভ্যানে বাসের ধাক্কা, পরিচ্ছন্নতা কর্মী নিহত। Logo আশুলিয়ায় সাংবাদিকদের নামে দায়ের করা মিথ্যা মামলা প্রত্যাহারের দাবীতে মানববন্ধন। Logo এক টেবিলে তিন চেয়ারম্যান প্রার্থী! কলতাসুতীর রাজনৈতিক সংস্কৃতিতে নতুন দৃষ্টান্ত স্থাপন। Logo জেল-জুলুম উপেক্ষা করে রাজপথে অবিচল সৈনিক শিমুলিয়ার ত্যাগী যুবদল নেতা মো. ইকবাল হোসেন। Logo দলের নিবেদিত প্রাণ মোবারক হোসেন: শিমুলিয়া ইউনিয়ন বিএনপির দুঃসময়ের কান্ডারী। Logo “ঘামের দামে গড়া স্বপ্ন, অথচ মর্যাদা নেই একবিন্দুও: সৌদি প্রবাসীদের জীবনে রক্ত, রোদ আর রেমিট্যান্স” Logo যুবদলের ৪৭ তম প্রতিষ্ঠা বার্ষিকী উপলক্ষে সাভারে বর্ণাঢ্য র‍্যালি অনুষ্ঠিত । Logo আশুলিয়া প্রিন্ট মিডিয়া জার্নালিস্ট এ্যাসোসিয়েশনের কমিটি গঠন।

জেল-জুলুম উপেক্ষা করে রাজপথে অবিচল সৈনিক শিমুলিয়ার ত্যাগী যুবদল নেতা মো. ইকবাল হোসেন।

  • মো.আমিনুল ইসলাম
  • প্রকাশের সময় : ১২:১১:৫২ পূর্বাহ্ন, মঙ্গলবার, ৪ নভেম্বর ২০২৫
  • ৬১৪ বার পঠিত

দলের জন্য বিক্রি করেছেন জমি, হারিয়েছেন লাখ লাখ টাকা; স্বৈরাচারের দমনযজ্ঞেও ভাঙেনি তাঁর মনোবল

প্রতিবেদক আমিনুল ইসলাম :
শিমুলিয়া ইউনিয়নের রাজপথে, তৃণমূলের প্রতিটি আন্দোলনে যে নামটি উচ্চারিত হয় দৃপ্ত কণ্ঠে তিনি মো. ইকবাল হোসেন, শিমুলিয়া ইউনিয়ন যুবদলের সংগ্রামী সভাপতি।
দল যখন কঠিন সময় পার করছে, তখন নিজের নিরাপত্তা ভুলে তিনি রাজপথে দাঁড়িয়েছেন দলের পতাকা হাতে, সাহস ও ত্যাগের প্রতীক হয়ে।

ইকবাল হোসেন নিজের সুখ-স্বাচ্ছন্দ্য বিসর্জন দিয়ে, দলের জন্য বিক্রি করেছেন বিঘার পর বিঘা জমি। আদালতের কাঠগড়ায় বারবার দাঁড়িয়েছেন, পুলিশের হয়রানি সহ্য করেছেন, কিন্তু কখনো আপস করেননি।
মিথ্যা মামলা ও জেল-জুলুমে আর্থিকভাবে ক্ষতিগ্রস্ত হলেও তিনি থেমে যাননি বরং আরও দৃঢ় হয়েছেন।

তাঁর কণ্ঠে আজও শোনা যায় তেজোদীপ্ত অঙ্গীকার দলই আমার পরিবার, নেতা-কর্মীরাই আমার আপনজন। গণতন্ত্র পুনরুদ্ধারের লড়াই থেকে এক চুলও পিছু হটব না।

বিগত স্বৈরাচার সরকারের সময় বিএনপি মনোনীত চেয়ারম্যান প্রার্থী (আনারস প্রতীক) হিসেবে নির্বাচনে অংশ নেন ইকবাল হোসেন। সেই সময় শুরু হয় তাঁর ওপর দমন-পীড়নের ঝড় একটি রাতও ঘরে নিরাপদে কাটাতে পারেননি।
তবুও তিনি হাল ছাড়েননি; রাজপথে, সভা-সমাবেশে, দলের কর্মসূচিতে থেকে জনগণকে সংগঠিত করেছেন।স্থানীয় এক যুবদল কর্মী বলেন, যখন সবাই আত্মগোপনে ছিল, তখন রাজপথে ছিলেন শুধু ইকবাল ভাই। তাঁর উপস্থিতি আমাদের অনুপ্রেরণা।

দলের কোনো কর্মী বিপদে পড়লে বা পরিবারে দুরবস্থা দেখা দিলে, সবার আগে ছুটে যান মো. ইকবাল হোসেন।
তিনি শুধু একজন রাজনীতিক নন, তিনি এক সমাজসেবকও যিনি প্রতিটি কর্মীর পাশে দাঁড়িয়েছেন আর্থিক ও মানসিকভাবে। তাঁর এই মানবিক নেতৃত্বের কারণেই আজ শিমুলিয়ার তৃণমূলে তিনি আস্থা ও ভালোবাসার নাম।

ঢাকা-১৯ আসনের সাবেক বিএনপি সাংসদ ডাঃ দেওয়ান মো. সালাউদ্দিন বাবু তাঁকে সবসময় “ত্যাগী ও নির্ভীক নেতা” হিসেবে প্রশংসা করেছেন।স্থানীয় বিএনপি ও যুবদল নেতাদের মতে, ইকবাল হোসেন হচ্ছেন, ত্যাগ, আদর্শ ও আনুগত্যের এক অটল প্রতীক যিনি দলের কঠিন সময়ে আশ্রয় ও প্রেরণার কেন্দ্রবিন্দু।

রাজপথের এই যোদ্ধা আজও অদম্য। তিনি তরুণদের আহ্বান জানাচ্ছেন গণতন্ত্র ও ন্যায়ের পথে এগিয়ে আসতে।
তাঁর দৃপ্ত উচ্চারণ, জেল-জুলুমে ভয় পাই না। এই রাজপথই আমার যুদ্ধক্ষেত্র, গণতন্ত্র প্রতিষ্ঠা না হওয়া পর্যন্ত লড়াই চলবে।

দলের জন্য ত্যাগ, সংগ্রাম ও সাহসিকতার যে দৃষ্টান্ত মো. ইকবাল হোসেন স্থাপন করেছেন, তা আজ শিমুলিয়া ইউনিয়নের রাজনৈতিক ইতিহাসে স্বর্ণাক্ষরে লেখা থাকবে।
তিনি শুধু একজন যুবদল সভাপতি নন তিনি এক যুগের প্রতিবাদ, সাহস ও ত্যাগের প্রতিচ্ছবি।

ট্যাগস :
জনপ্রিয় সংবাদ

ভালো-মন্দের উল্টো হিসাব নিজেকে না দেখে অন্যকে দোষারোপের সংস্কৃতি সমাজকে কোথায় নিয়ে যাচ্ছে?

জেল-জুলুম উপেক্ষা করে রাজপথে অবিচল সৈনিক শিমুলিয়ার ত্যাগী যুবদল নেতা মো. ইকবাল হোসেন।

প্রকাশের সময় : ১২:১১:৫২ পূর্বাহ্ন, মঙ্গলবার, ৪ নভেম্বর ২০২৫

দলের জন্য বিক্রি করেছেন জমি, হারিয়েছেন লাখ লাখ টাকা; স্বৈরাচারের দমনযজ্ঞেও ভাঙেনি তাঁর মনোবল

প্রতিবেদক আমিনুল ইসলাম :
শিমুলিয়া ইউনিয়নের রাজপথে, তৃণমূলের প্রতিটি আন্দোলনে যে নামটি উচ্চারিত হয় দৃপ্ত কণ্ঠে তিনি মো. ইকবাল হোসেন, শিমুলিয়া ইউনিয়ন যুবদলের সংগ্রামী সভাপতি।
দল যখন কঠিন সময় পার করছে, তখন নিজের নিরাপত্তা ভুলে তিনি রাজপথে দাঁড়িয়েছেন দলের পতাকা হাতে, সাহস ও ত্যাগের প্রতীক হয়ে।

ইকবাল হোসেন নিজের সুখ-স্বাচ্ছন্দ্য বিসর্জন দিয়ে, দলের জন্য বিক্রি করেছেন বিঘার পর বিঘা জমি। আদালতের কাঠগড়ায় বারবার দাঁড়িয়েছেন, পুলিশের হয়রানি সহ্য করেছেন, কিন্তু কখনো আপস করেননি।
মিথ্যা মামলা ও জেল-জুলুমে আর্থিকভাবে ক্ষতিগ্রস্ত হলেও তিনি থেমে যাননি বরং আরও দৃঢ় হয়েছেন।

তাঁর কণ্ঠে আজও শোনা যায় তেজোদীপ্ত অঙ্গীকার দলই আমার পরিবার, নেতা-কর্মীরাই আমার আপনজন। গণতন্ত্র পুনরুদ্ধারের লড়াই থেকে এক চুলও পিছু হটব না।

বিগত স্বৈরাচার সরকারের সময় বিএনপি মনোনীত চেয়ারম্যান প্রার্থী (আনারস প্রতীক) হিসেবে নির্বাচনে অংশ নেন ইকবাল হোসেন। সেই সময় শুরু হয় তাঁর ওপর দমন-পীড়নের ঝড় একটি রাতও ঘরে নিরাপদে কাটাতে পারেননি।
তবুও তিনি হাল ছাড়েননি; রাজপথে, সভা-সমাবেশে, দলের কর্মসূচিতে থেকে জনগণকে সংগঠিত করেছেন।স্থানীয় এক যুবদল কর্মী বলেন, যখন সবাই আত্মগোপনে ছিল, তখন রাজপথে ছিলেন শুধু ইকবাল ভাই। তাঁর উপস্থিতি আমাদের অনুপ্রেরণা।

দলের কোনো কর্মী বিপদে পড়লে বা পরিবারে দুরবস্থা দেখা দিলে, সবার আগে ছুটে যান মো. ইকবাল হোসেন।
তিনি শুধু একজন রাজনীতিক নন, তিনি এক সমাজসেবকও যিনি প্রতিটি কর্মীর পাশে দাঁড়িয়েছেন আর্থিক ও মানসিকভাবে। তাঁর এই মানবিক নেতৃত্বের কারণেই আজ শিমুলিয়ার তৃণমূলে তিনি আস্থা ও ভালোবাসার নাম।

ঢাকা-১৯ আসনের সাবেক বিএনপি সাংসদ ডাঃ দেওয়ান মো. সালাউদ্দিন বাবু তাঁকে সবসময় “ত্যাগী ও নির্ভীক নেতা” হিসেবে প্রশংসা করেছেন।স্থানীয় বিএনপি ও যুবদল নেতাদের মতে, ইকবাল হোসেন হচ্ছেন, ত্যাগ, আদর্শ ও আনুগত্যের এক অটল প্রতীক যিনি দলের কঠিন সময়ে আশ্রয় ও প্রেরণার কেন্দ্রবিন্দু।

রাজপথের এই যোদ্ধা আজও অদম্য। তিনি তরুণদের আহ্বান জানাচ্ছেন গণতন্ত্র ও ন্যায়ের পথে এগিয়ে আসতে।
তাঁর দৃপ্ত উচ্চারণ, জেল-জুলুমে ভয় পাই না। এই রাজপথই আমার যুদ্ধক্ষেত্র, গণতন্ত্র প্রতিষ্ঠা না হওয়া পর্যন্ত লড়াই চলবে।

দলের জন্য ত্যাগ, সংগ্রাম ও সাহসিকতার যে দৃষ্টান্ত মো. ইকবাল হোসেন স্থাপন করেছেন, তা আজ শিমুলিয়া ইউনিয়নের রাজনৈতিক ইতিহাসে স্বর্ণাক্ষরে লেখা থাকবে।
তিনি শুধু একজন যুবদল সভাপতি নন তিনি এক যুগের প্রতিবাদ, সাহস ও ত্যাগের প্রতিচ্ছবি।