
প্রতিবেদক- আমিনুল ইসলাম:-
রাজনীতিতে প্রতিদ্বন্দ্বিতা থাক, শত্রুতা নয় শিমুলিয়া ইউনিয়নের তিন প্রার্থীর একসুরে অঙ্গীকার, রাজনীতির উত্তাপ যখন মাঠে চরমে, তখন সাভারের শিমুলিয়া ইউনিয়নের কলতাসুতী গ্রামে দেখা গেল এক ভিন্ন চিত্র।
একই গ্রামের সন্তান, একই এলাকার ব্যবসায়ী ও সমাজের কর্ণধার তিন চেয়ারম্যান৷ প্রার্থী আব্দুল্লাহ আল মামুন বাবুল, আমজাদ হোসেন বুলবুল ও হাজী আব্দুল মালেক সম্প্রতি এক সামাজিক অনুষ্ঠানে এক টেবিলে বসে সৌহার্দ্যের বার্তা দিয়েছেন সমগ্র ইউনিয়নবাসীকে।
রাজনীতির বিভাজন ভুলে তারা যেন একে অপরের পাশে দাঁড়িয়ে এক নতুন দৃষ্টান্ত স্থাপন করলেন, যা আজ স্থানীয় পর্যায়ে আলোচনার ঝড় তুলেছে। একই গ্রাম, একই বংশ, একই স্বপ্ন উন্নত শিমুলিয়া গড়ার অঙ্গীকার
তিন প্রার্থীরই জন্ম কলতাসুতী গ্রামে। সবাই সমাজসেবায় জড়িত এবং ব্যবসা-বাণিজ্যের মাধ্যমে এলাকায় সুনাম অর্জন করেছেন।তাদের বক্তব্যে উঠে এসেছে একই বার্তা “নির্বাচন মানে প্রতিদ্বন্দ্বিতা, কিন্তু প্রতিহিংসা নয়।”
চেয়ারম্যান প্রার্থী আব্দুল্লাহ আল মামুন বাবুল বলেন,আমরা তিনজনই একই এলাকার সন্তান। আমাদের প্রতিদ্বন্দ্বিতা হবে উন্নয়নের ধারায়,ব্যক্তিগত বা পারিবারিক বিরোধে নয়। আলহামদুলিল্লাহ, আমরা সবাই একে অপরের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। রাজনীতির মাঠে সৌহার্দ্য বজায় থাকলে তবেই প্রকৃত গণতন্ত্র প্রতিষ্ঠিত হবে।
অন্য প্রার্থী আমজাদ হোসেন বুলবুল বলেন,শিমুলিয়া ইউনিয়নের মানুষ ঐক্যবদ্ধ। আমরা চাই জনগণ উন্নয়ন ও সেবার রাজনীতি দেখুক, কাদা ছোঁড়াছুঁড়ি নয়। বিএনপির ত্যাগী নেতাকর্মীরা আজ ঐক্যবদ্ধ আমরা দল ও জনগণের শক্তিকে একত্রে কাজে লাগাতে চাই।
তৃতীয় প্রার্থী হাজী আব্দুল মালেক বলেন,আমি রাজনীতিতে এসেছি জনগণের সেবা করতে, বিভেদ সৃষ্টি করতে নয়। শিমুলিয়া ইউনিয়ন বিএনপির ঘাঁটি ছিল, আছে, থাকবে ইনশাআল্লাহ। ব্যক্তির চেয়ে দল বড়, আর দলের চেয়ে দেশ বড় এ নীতিতেই আমরা এগিয়ে যাচ্ছি।
স্থানীয় প্রবীণ রাজনৈতিক বিশ্লেষকরা বলছেন,এই দৃশ্য শুধু শিমুলিয়া ইউনিয়নের নয়, বরং সারাদেশের রাজনৈতিক সংস্কৃতির জন্য একটি অনুকরণীয় উদাহরণ।
একজন সাবেক ইউনিয়ন চেয়ারম্যান বলেন,বাংলাদেশে এখন সবচেয়ে বেশি প্রয়োজন রাজনৈতিক সহনশীলতা। কলতাসুতীর এই তিন প্রার্থী দেখিয়ে দিলেন, ভিন্ন মত থাকা মানে শত্রু হওয়া নয়। বিএনপির ঐক্যের বার্তা,ব্যক্তির চেয়ে দল বড়, দলের চেয়ে দেশ বড়। অনুষ্ঠানে উপস্থিত ইউনিয়ন বিএনপির নেতারা বলেন,আমাদের নেতা তারেক রহমানের নির্দেশ একটাই দলের ভেতরে ঐক্য বজায় রাখতে হবে। স্থানীয় পর্যায়ের প্রতিযোগিতা থাকলেও সবাইকে এক হয়ে কাজ করতে হবে ধানের শীষের বিজয়ের জন্য।তারা আরও বলেন,বাংলাদেশের গণতন্ত্রকে পুনরুদ্ধার করতে হলে ব্যক্তিগত উচ্চাকাঙ্ক্ষা নয়, দলীয় আদর্শকে সর্বোচ্চ প্রাধান্য দিতে হবে। কলতাসুতী আজ বিএনপির রাজনীতিতে ঐক্যের প্রতীক।ঐক্যের রাজনীতি বৈরিতার রাজনীতির পরিপন্থী,রাজনৈতিক বিশ্লেষকদের মতে, দেশের তৃণমূল রাজনীতিতে এমন সহমর্মিতা দিন দিন কমে আসছে।এই প্রার্থীদের আচরণ একটি ইতিবাচক পরিবর্তনের ইঙ্গিত দিচ্ছে, যেখানে মানুষ রাজনীতিকে আবারও সমাজকল্যাণ ও মানবিকতার জায়গায় দেখতে পাচ্ছে।তিন চেয়ারম্যান প্রার্থীই একবাক্যে জানিয়েছেন যে-ই নির্বাচিত হন, অন্য দুইজন তাঁকে সর্বাত্মক সহযোগিতা করবেন ইউনিয়নের উন্নয়নের স্বার্থে।আমরা কলতাসুতীর সন্তান। রাজনীতি আমাদের বিভক্ত করবে না, বরং ঐক্যবদ্ধ করবে। আমরা ছিলাম, আছি, থাকব মানুষের পাশে, দলের পাশে, দেশের পাশে। রাজনীতির লক্ষ্য ক্ষমতা নয়, সেবা; শত্রুতা নয়, সহযোগিতা।কলতাসুতী দেখিয়ে দিল রাজনীতি যদি হয় ভ্রাতৃত্বের, তবেই গণতন্ত্র হবে টেকসই।বাংলাদেশ জিন্দাবাদ। দল বড়, দেশের চেয়ে বড় কিছু নেই।
মো.আমিনুল ইসলাম 




