ঢাকা ০৫:২৭ অপরাহ্ন, সোমবার, ১০ নভেম্বর ২০২৫, ২৬ কার্তিক ১৪৩২ বঙ্গাব্দ
সংবাদ শিরোনাম :
Logo ভালো-মন্দের উল্টো হিসাব নিজেকে না দেখে অন্যকে দোষারোপের সংস্কৃতি সমাজকে কোথায় নিয়ে যাচ্ছে? Logo আশুলিয়ায় অবৈধ ইটভাটায় অভিযান, ছয়টি ইটভাটা বন্ধ করলো প্রশাসন । Logo আশুলিয়ায় ভ্যানে বাসের ধাক্কা, পরিচ্ছন্নতা কর্মী নিহত। Logo আশুলিয়ায় সাংবাদিকদের নামে দায়ের করা মিথ্যা মামলা প্রত্যাহারের দাবীতে মানববন্ধন। Logo এক টেবিলে তিন চেয়ারম্যান প্রার্থী! কলতাসুতীর রাজনৈতিক সংস্কৃতিতে নতুন দৃষ্টান্ত স্থাপন। Logo জেল-জুলুম উপেক্ষা করে রাজপথে অবিচল সৈনিক শিমুলিয়ার ত্যাগী যুবদল নেতা মো. ইকবাল হোসেন। Logo দলের নিবেদিত প্রাণ মোবারক হোসেন: শিমুলিয়া ইউনিয়ন বিএনপির দুঃসময়ের কান্ডারী। Logo “ঘামের দামে গড়া স্বপ্ন, অথচ মর্যাদা নেই একবিন্দুও: সৌদি প্রবাসীদের জীবনে রক্ত, রোদ আর রেমিট্যান্স” Logo যুবদলের ৪৭ তম প্রতিষ্ঠা বার্ষিকী উপলক্ষে সাভারে বর্ণাঢ্য র‍্যালি অনুষ্ঠিত । Logo আশুলিয়া প্রিন্ট মিডিয়া জার্নালিস্ট এ্যাসোসিয়েশনের কমিটি গঠন।

জিরানী থেকে গোহাইলবাড়ি রাস্তায় মাপঝোকহীন স্পিডব্রেকার দুর্ঘটনার ঝুঁকি বাড়াচ্ছে ১২টি গতিরোধক।

  • মো.আমিনুল ইসলাম
  • প্রকাশের সময় : ১২:৩৬:১৭ পূর্বাহ্ন, বুধবার, ১ অক্টোবর ২০২৫
  • ২৫২ বার পঠিত

জিরানী থেকে গোহাইলবাড়ি রাস্তায় মাপঝোকহীন স্পিডব্রেকার দুর্ঘটনার ঝুঁকি বাড়াচ্ছে ১২টি গতিরোধক।

শিমুলিয়া ইউনিয়নের জিরানী থেকে গোহাইলবাড়ি পর্যন্ত মাত্র দেড় কিলোমিটার সড়কে অবস্থান করছে মোট ১২টি স্পিডব্রেকার। কিন্তু সমস্যা হলো, এ সব স্পিডব্রেকার কোনো নির্দিষ্ট মাপঝোক বা আন্তর্জাতিক মান মেনে তৈরি হয়নি। ফলে সড়কের যানবাহন চালকদের জন্য দারুণ বিপজ্জনক পরিস্থিতি সৃষ্টি হয়েছে।

স্থানীয়রা জানান, এই গতিরোধকগুলো এতটাই বড় ও অসংগঠিতভাবে বসানো হয়েছে যে, এতে গাড়ি চালকদের নিয়ন্ত্রণ হারানোর ঘটনা বেড়ে যাচ্ছে। স্পিডব্রেকারে গাড়ির চাকা উঠে গিয়ে ভাঙন ধরায় প্রায়শই যানবাহন বিকল হয়ে পড়ে। বিভিন্ন যন্ত্রাংশও ক্ষতিগ্রস্ত হয়। এর ফলে রাস্তায় গাড়ির সারি লেগে যানজট তো রয়েছেই, পাশাপাশি ঘটে চলেছে মারাত্মক দূর্ঘটনা।স্থানীয় বাসিন্দা আব্দুল করিমের অভিযোগরাস্তাটার দৈর্ঘ্য মাত্র দেড় কিলোমিটার, অথচ সেখানে ১২টি স্পিডব্রেকার! এসবের কোনো সঠিক মাপঝোক নেই। গাড়ি চালাতে গেলে চাকার ভাঙনসহ নানা যন্ত্রাংশ নষ্ট হয়। এর ফলে প্রতি সপ্তাহে অন্তত একবার দুর্ঘটনা হয়।

বেশিরভাগ যানবাহন চালক জানাচ্ছেন, দ্রুতগামী সড়কে হঠাৎ স্পিডব্রেকারে ধাক্কা খেয়ে গাড়ি নিয়ন্ত্রণ হারিয়ে গেলে দুর্ঘটনার সম্ভাবনা অনেক বেশি। বিশেষ করে ভোর রাতে ও বৃষ্টি সময়ে এই স্পিডব্রেকারগুলোতে দুর্ঘটনা ঘটার ঝুঁকি বেড়ে যায়।

স্থানীয়রা অভিযোগ করছেন, তারা প্রশাসনের কাছে বিষয়টি বহুবার জানিয়েও কোনো কার্যকর পদক্ষেপ গ্রহণ হয়নি। কেউ সড়কের বাস্তবতা বিবেচনা করে স্পিডব্রেকারের সঠিক মাপ নির্ধারণ করেনি কিংবা প্রয়োজনমতো কমিয়ে বা সরিয়ে দেয়নি।স্পিডব্রেকারগুলো আন্তর্জাতিক মাপ ও সড়ক নিরাপত্তার নিয়ম অনুযায়ী পুনর্বিন্যাস বা কমিয়ে আনাসড়কে নিরাপদ গতিবিধি নিশ্চিত করার জন্য মানসম্মত সাইনবোর্ড ও আলোকসজ্জা স্থাপনসড়কের নিয়মিত রক্ষণাবেক্ষণ ও দ্রুত দুর্ঘটনা প্রতিরোধে পদক্ষেপ নেওয়া।

নিরাপদ ও স্বাচ্ছন্দ্যময় যাতায়াত নিশ্চিত করা কোনো এলাকায় আধুনিক নগরায়নের অপরিহার্য শর্ত। কিন্তু জিরানী থেকে গোহাইলবাড়ি রাস্তায় অযত্ন ও মাপঝোকবিহীন স্পিডব্রেকার স্থাপন জনজীবনে অতিরিক্ত ঝুঁকি বাড়িয়েছে। এখন সময় এসেছে সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের নজরদারি ও দ্রুত সংশোধনের, নাহলে এ সড়কে বড় ধরনের দুর্ঘটনা ঘটার আশঙ্কা রয়েছে।

ট্যাগস :
জনপ্রিয় সংবাদ

ভালো-মন্দের উল্টো হিসাব নিজেকে না দেখে অন্যকে দোষারোপের সংস্কৃতি সমাজকে কোথায় নিয়ে যাচ্ছে?

জিরানী থেকে গোহাইলবাড়ি রাস্তায় মাপঝোকহীন স্পিডব্রেকার দুর্ঘটনার ঝুঁকি বাড়াচ্ছে ১২টি গতিরোধক।

প্রকাশের সময় : ১২:৩৬:১৭ পূর্বাহ্ন, বুধবার, ১ অক্টোবর ২০২৫

জিরানী থেকে গোহাইলবাড়ি রাস্তায় মাপঝোকহীন স্পিডব্রেকার দুর্ঘটনার ঝুঁকি বাড়াচ্ছে ১২টি গতিরোধক।

শিমুলিয়া ইউনিয়নের জিরানী থেকে গোহাইলবাড়ি পর্যন্ত মাত্র দেড় কিলোমিটার সড়কে অবস্থান করছে মোট ১২টি স্পিডব্রেকার। কিন্তু সমস্যা হলো, এ সব স্পিডব্রেকার কোনো নির্দিষ্ট মাপঝোক বা আন্তর্জাতিক মান মেনে তৈরি হয়নি। ফলে সড়কের যানবাহন চালকদের জন্য দারুণ বিপজ্জনক পরিস্থিতি সৃষ্টি হয়েছে।

স্থানীয়রা জানান, এই গতিরোধকগুলো এতটাই বড় ও অসংগঠিতভাবে বসানো হয়েছে যে, এতে গাড়ি চালকদের নিয়ন্ত্রণ হারানোর ঘটনা বেড়ে যাচ্ছে। স্পিডব্রেকারে গাড়ির চাকা উঠে গিয়ে ভাঙন ধরায় প্রায়শই যানবাহন বিকল হয়ে পড়ে। বিভিন্ন যন্ত্রাংশও ক্ষতিগ্রস্ত হয়। এর ফলে রাস্তায় গাড়ির সারি লেগে যানজট তো রয়েছেই, পাশাপাশি ঘটে চলেছে মারাত্মক দূর্ঘটনা।স্থানীয় বাসিন্দা আব্দুল করিমের অভিযোগরাস্তাটার দৈর্ঘ্য মাত্র দেড় কিলোমিটার, অথচ সেখানে ১২টি স্পিডব্রেকার! এসবের কোনো সঠিক মাপঝোক নেই। গাড়ি চালাতে গেলে চাকার ভাঙনসহ নানা যন্ত্রাংশ নষ্ট হয়। এর ফলে প্রতি সপ্তাহে অন্তত একবার দুর্ঘটনা হয়।

বেশিরভাগ যানবাহন চালক জানাচ্ছেন, দ্রুতগামী সড়কে হঠাৎ স্পিডব্রেকারে ধাক্কা খেয়ে গাড়ি নিয়ন্ত্রণ হারিয়ে গেলে দুর্ঘটনার সম্ভাবনা অনেক বেশি। বিশেষ করে ভোর রাতে ও বৃষ্টি সময়ে এই স্পিডব্রেকারগুলোতে দুর্ঘটনা ঘটার ঝুঁকি বেড়ে যায়।

স্থানীয়রা অভিযোগ করছেন, তারা প্রশাসনের কাছে বিষয়টি বহুবার জানিয়েও কোনো কার্যকর পদক্ষেপ গ্রহণ হয়নি। কেউ সড়কের বাস্তবতা বিবেচনা করে স্পিডব্রেকারের সঠিক মাপ নির্ধারণ করেনি কিংবা প্রয়োজনমতো কমিয়ে বা সরিয়ে দেয়নি।স্পিডব্রেকারগুলো আন্তর্জাতিক মাপ ও সড়ক নিরাপত্তার নিয়ম অনুযায়ী পুনর্বিন্যাস বা কমিয়ে আনাসড়কে নিরাপদ গতিবিধি নিশ্চিত করার জন্য মানসম্মত সাইনবোর্ড ও আলোকসজ্জা স্থাপনসড়কের নিয়মিত রক্ষণাবেক্ষণ ও দ্রুত দুর্ঘটনা প্রতিরোধে পদক্ষেপ নেওয়া।

নিরাপদ ও স্বাচ্ছন্দ্যময় যাতায়াত নিশ্চিত করা কোনো এলাকায় আধুনিক নগরায়নের অপরিহার্য শর্ত। কিন্তু জিরানী থেকে গোহাইলবাড়ি রাস্তায় অযত্ন ও মাপঝোকবিহীন স্পিডব্রেকার স্থাপন জনজীবনে অতিরিক্ত ঝুঁকি বাড়িয়েছে। এখন সময় এসেছে সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের নজরদারি ও দ্রুত সংশোধনের, নাহলে এ সড়কে বড় ধরনের দুর্ঘটনা ঘটার আশঙ্কা রয়েছে।