
নান্দাইল থেকে ঘুরে এসে মশিউর রহমানের রিপোর্ট:ময়মনসিংহের নান্দাইল উপজেলার ৮নং সিংরইল ইউনিয়নের সীমান্তবর্তী হরিপুর রতনবাজার থেকে দক্ষিণমুখি বগরীকান্দা ভায়া তেলিয়া গ্রাম পর্যন্ত ৩ কিলোমিটার জুড়ে একটি কাঁচা রাস্তায় দীর্ঘ ৩০ বছরেও উন্নয়নের ছোয়া লাগেনি। আশার আলো কবে নাগাদ বাস্তবে রূপ নিবে বা আদৌও কি উন্নয়নের ছোয়া পাবে কিনা, এমনটাই ক্ষোভ প্রকাশ করেন গ্রামবাসী। তবে এবিষয়ে সুদৃষ্টি থাকবে বলে জানান নান্দাইল উপজেলা প্রকৌশলী।
এই গ্রামে ৪টি মসজিদ, মাদ্রাসা ও প্রাথমিক বিদ্যালয় সহ বেশ কয়েকটি মৎস্য, মুরগীর খামার রয়েছে। কয়েকটি গ্রামের শিক্ষার্থী সহ বিভিন্ন পেশার হাজারও নারী-পুরুষ এই বেহাল দশা রাস্তা দিয়ে চলাচল করে থাকেন। বিশেষ করে বৃষ্টির দিনে চলাচলে তাদেরকে চরম দুর্ভোগ পোহাতে হয়।
মঞ্জুরুল ইসলাম নামে এক স্থানীয় জানান, আমার জন্মের পর থেকে এই রাস্তাটির বেহাল দশা দেখে আসছি। এবিষয়ে আমরা অনেক উদ্যোগও নিয়েছিলাম। তবে অনেকে আশ্বাস দিয়েও তাদের কথা রাখেনি। বৃষ্টির সময় এখান দিয়ে চলাচলে আমাদেরকে চরম বেগ পোহাতে হয়। শেষে কোন উপায় না পেয়ে জেলা প্রশাসক বরাবর এবিষয়ে একটি আবেদন করেছি। আমাদের জোর দাবী, যাতে করে এই রাস্তাটি দ্রুত পাকা করণের ব্যাবস্থা করা হয়, এবিষয়ে উর্ধতন কর্তৃপক্ষের সুদৃষ্টি কামনা করছি।
এবিষয়ে ৮নং সিংরইল ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান মো: সাইফুল ইসলাম বলেন, এই রাস্তাটি এলইজিডি এর অধীনে তাই বিগত সরকারের সময়ে এবিষয়ে নিয়ে মিটিং এ অনেক বলাবলি করেও কোন কাজ হয়নি। সর্বশেষ তখনকার এমপি সাহেব যে রাস্তা করতে অর্ডার করেছেন, সেই রাস্তার কাজ হয়েছে। এছাড়া আমি মাটি কাটার জন্য লেবার পাঠিয়েছিলাম, কেউই মাটি দেয়েনি। এই এলাকা একটি ঘনবসতিপূর্ণ এলাকা, তাই রাস্তাটি যদি পাকা করা হয়, তাহলে গ্রামবাসী অনেক উপকৃত হবেন।
তবে নূর-আলম নামের এক স্থানীয় বলেন, জনপ্রতিনিধিরা মাটি কাটা তো দূরের কথা, এই রাস্তায় একটুকরো ইটও ফেলাইনি। আমার বাড়ি যাইতে যে কাদা, সেখানে মাটি ফেলাইতে দিমু না এই কথায় কোন যুক্তি আছে। চেয়ারম্যানে যা বলেছে তা সম্পূর্ণ মিথ্যা। উপজেলা সহ বিভিন্ন জায়গায় আমরা এবিষয়ে অনেক বার কথা বলেও কোন সূরাহ হয়নি। হবে কেমনে হবে, চেয়ারম্যানতো আমাদের পক্ষে না।
পরে এবিষয়ে নান্দাইল উপজেলা প্রকৌশলী আব্দুল মালেক বিশ্বাসের সঙ্গে মুঠোফোনে যোগাযোগ করা হলে তিনি বলেন, ওই রাস্তা পাকা করণে কেউই আমাদের কাছে তথ্য চায়নি এবং আমরা কোন তথ্য দেয়নি। এছাড়া পিডি অফিস থেকে অর্ডার লাগে, এধরনের কাগজপত্র আমাদের কাছে নেই। আগের এমপির সময়ে যেগুলো পাশ হয়েছিল, সেগুলো প্রায় শেষ হয়ে গেছে। নতুন করে কোন কাজ আমরা এপ্রুভ করতে পারিনি। তবে আপনার কাছ থেকে জেনেছি এবং এবিষয়ে আমাদের দৃষ্টি থাকবে বলেও জানান তিনি।
মশিউর রহমানের 





