ঢাকা ০৫:০৬ অপরাহ্ন, সোমবার, ১০ নভেম্বর ২০২৫, ২৬ কার্তিক ১৪৩২ বঙ্গাব্দ
সংবাদ শিরোনাম :
Logo ভালো-মন্দের উল্টো হিসাব নিজেকে না দেখে অন্যকে দোষারোপের সংস্কৃতি সমাজকে কোথায় নিয়ে যাচ্ছে? Logo আশুলিয়ায় অবৈধ ইটভাটায় অভিযান, ছয়টি ইটভাটা বন্ধ করলো প্রশাসন । Logo আশুলিয়ায় ভ্যানে বাসের ধাক্কা, পরিচ্ছন্নতা কর্মী নিহত। Logo আশুলিয়ায় সাংবাদিকদের নামে দায়ের করা মিথ্যা মামলা প্রত্যাহারের দাবীতে মানববন্ধন। Logo এক টেবিলে তিন চেয়ারম্যান প্রার্থী! কলতাসুতীর রাজনৈতিক সংস্কৃতিতে নতুন দৃষ্টান্ত স্থাপন। Logo জেল-জুলুম উপেক্ষা করে রাজপথে অবিচল সৈনিক শিমুলিয়ার ত্যাগী যুবদল নেতা মো. ইকবাল হোসেন। Logo দলের নিবেদিত প্রাণ মোবারক হোসেন: শিমুলিয়া ইউনিয়ন বিএনপির দুঃসময়ের কান্ডারী। Logo “ঘামের দামে গড়া স্বপ্ন, অথচ মর্যাদা নেই একবিন্দুও: সৌদি প্রবাসীদের জীবনে রক্ত, রোদ আর রেমিট্যান্স” Logo যুবদলের ৪৭ তম প্রতিষ্ঠা বার্ষিকী উপলক্ষে সাভারে বর্ণাঢ্য র‍্যালি অনুষ্ঠিত । Logo আশুলিয়া প্রিন্ট মিডিয়া জার্নালিস্ট এ্যাসোসিয়েশনের কমিটি গঠন।

শিমুলিয়া ইউনিয়নে একাধিক বিএনপি প্রার্থী, আত্মঘাতী অবস্থানে দল,ভোট বিভাজনের শঙ্কা, নির্বাচনী মাঠে দুর্বল হচ্ছে বিএনপি।

আমিনুল ইসলাম, আশুলিয়ার শিমুলিয়া থেকে : জাতীয় নির্বাচনকে ঘিরে ঢাকা জেলার সাভার উপজেলার শিমুলিয়া ইউনিয়নে বিএনপির অভ্যন্তরীণ বিভক্তি প্রকাশ্য রূপ নিয়েছে।
চেয়ারম্যান পদে একাধিক বিএনপি-ঘনিষ্ঠ প্রার্থী নির্বাচনে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করার প্রচারনায় দলটির সমর্থক ও সাধারণ ভোটারদের মধ্যে চরম বিভ্রান্তি দেখা দিচ্ছে। এতে দলীয় ভোট বিভক্ত হয়ে প্রতিপক্ষের বিজয় সহজ হয়ে যেতে পারে বলে আশঙ্কা করছেন বিশ্লেষকরা।

স্থানীয় সূত্রে জানা গেছে, শিমুলিয়া ইউনিয়নে বিএনপির কমপক্ষে চার থেকে পাঁচজন প্রার্থী ব্যানার ফেস্টুন দিয়ে শিমুলিয়া ইউনিয়নে প্রচারণা চালাচ্ছেন।
কেউ দাবি করছেন তাঁরা পুরনো ত্যাগী নেতা, কেউ আবার বলছেন উপজেলা ও জেলার নেতৃত্বের সমর্থন রয়েছে। ফলে মাঠে দলীয় ঐক্যের চিত্র নেই, বরং প্রতিদ্বন্দ্বিতা চলছে একই দলের লোকজনের মধ্যেই।

এ বিষয়ে এক বিএনপির তৃনমূলের এক কর্মী ক্ষোভ প্রকাশ করে বলেন,দল যদি একটি সিদ্ধান্তে না আসে, তাহলে তো আমরা নিজেরাই নিজেদের ভোট কেটে ফেলবো। এতে করে লাভ হবে অন্য দলের।

স্থানীয় ভোটারদের একাংশও এই বিভ্রান্তিতে দিশেহারা। এক বৃদ্ধ ভোটার বলেন,বিএনপির এতগুলো প্রার্থী, কারে ভোট দেব বুঝতে পারছি না। সবাই তো এক কথাই বলতেছে।

স্থানীয় রাজনৈতিক বিশ্লেষকরা বলছেন, এটি “আত্মঘাতী রাজনীতি”। একদিকে কেন্দ্র থেকে কোনো সুস্পষ্ট দিকনির্দেশনা নেই, অন্যদিকে স্থানীয় পর্যায়ে বিভাজন আরও গভীর হচ্ছে। এতে করে বিএনপি শিমুলিয়া ইউনিয়নে নির্বাচনের মূল লড়াইয়ে টিকে থাকার সক্ষমতাই হারানোর সম্ভবনা।

এ বিষয়ে নাম প্রকাশ না করার শর্তে অন্যান্ন দলের নেতা কর্মীরা বলছেন, ওরা (বিএনপি) নিজেরা ঠিক করতে পারে না কে প্রার্থী হবে। আমাদের তো কিছুই করতে হয় না, ওরাই ওদের নিজেদের ক্ষতি নিজেরাই করছে।

শিমুলিয়া ইউনিয়নে বিএনপির একাধিক প্রার্থী থাকা তাদের সাংগঠনিক দুর্বলতা ও সমন্বয়হীনতার প্রতিচ্ছবি।
যদি শেষ মুহূর্তে সমঝোতা না হয়, তাহলে দলটি নির্বাচনে কার্যত নিজের পায়ে কুড়াল মারছে বলেই মনে করছেন স্থানীয়রা।বিএনপি যাতে নিজেদের মাঝে ঐক্য তৈরি করে নিজ এলাকায় ভোটের মাঠে নামেন এই প্রত্যাশা সাধারণ ভোটারদের মাঝে।

ট্যাগস :
জনপ্রিয় সংবাদ

ভালো-মন্দের উল্টো হিসাব নিজেকে না দেখে অন্যকে দোষারোপের সংস্কৃতি সমাজকে কোথায় নিয়ে যাচ্ছে?

শিমুলিয়া ইউনিয়নে একাধিক বিএনপি প্রার্থী, আত্মঘাতী অবস্থানে দল,ভোট বিভাজনের শঙ্কা, নির্বাচনী মাঠে দুর্বল হচ্ছে বিএনপি।

প্রকাশের সময় : ০৫:২৪:০৮ অপরাহ্ন, বুধবার, ১৭ সেপ্টেম্বর ২০২৫

আমিনুল ইসলাম, আশুলিয়ার শিমুলিয়া থেকে : জাতীয় নির্বাচনকে ঘিরে ঢাকা জেলার সাভার উপজেলার শিমুলিয়া ইউনিয়নে বিএনপির অভ্যন্তরীণ বিভক্তি প্রকাশ্য রূপ নিয়েছে।
চেয়ারম্যান পদে একাধিক বিএনপি-ঘনিষ্ঠ প্রার্থী নির্বাচনে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করার প্রচারনায় দলটির সমর্থক ও সাধারণ ভোটারদের মধ্যে চরম বিভ্রান্তি দেখা দিচ্ছে। এতে দলীয় ভোট বিভক্ত হয়ে প্রতিপক্ষের বিজয় সহজ হয়ে যেতে পারে বলে আশঙ্কা করছেন বিশ্লেষকরা।

স্থানীয় সূত্রে জানা গেছে, শিমুলিয়া ইউনিয়নে বিএনপির কমপক্ষে চার থেকে পাঁচজন প্রার্থী ব্যানার ফেস্টুন দিয়ে শিমুলিয়া ইউনিয়নে প্রচারণা চালাচ্ছেন।
কেউ দাবি করছেন তাঁরা পুরনো ত্যাগী নেতা, কেউ আবার বলছেন উপজেলা ও জেলার নেতৃত্বের সমর্থন রয়েছে। ফলে মাঠে দলীয় ঐক্যের চিত্র নেই, বরং প্রতিদ্বন্দ্বিতা চলছে একই দলের লোকজনের মধ্যেই।

এ বিষয়ে এক বিএনপির তৃনমূলের এক কর্মী ক্ষোভ প্রকাশ করে বলেন,দল যদি একটি সিদ্ধান্তে না আসে, তাহলে তো আমরা নিজেরাই নিজেদের ভোট কেটে ফেলবো। এতে করে লাভ হবে অন্য দলের।

স্থানীয় ভোটারদের একাংশও এই বিভ্রান্তিতে দিশেহারা। এক বৃদ্ধ ভোটার বলেন,বিএনপির এতগুলো প্রার্থী, কারে ভোট দেব বুঝতে পারছি না। সবাই তো এক কথাই বলতেছে।

স্থানীয় রাজনৈতিক বিশ্লেষকরা বলছেন, এটি “আত্মঘাতী রাজনীতি”। একদিকে কেন্দ্র থেকে কোনো সুস্পষ্ট দিকনির্দেশনা নেই, অন্যদিকে স্থানীয় পর্যায়ে বিভাজন আরও গভীর হচ্ছে। এতে করে বিএনপি শিমুলিয়া ইউনিয়নে নির্বাচনের মূল লড়াইয়ে টিকে থাকার সক্ষমতাই হারানোর সম্ভবনা।

এ বিষয়ে নাম প্রকাশ না করার শর্তে অন্যান্ন দলের নেতা কর্মীরা বলছেন, ওরা (বিএনপি) নিজেরা ঠিক করতে পারে না কে প্রার্থী হবে। আমাদের তো কিছুই করতে হয় না, ওরাই ওদের নিজেদের ক্ষতি নিজেরাই করছে।

শিমুলিয়া ইউনিয়নে বিএনপির একাধিক প্রার্থী থাকা তাদের সাংগঠনিক দুর্বলতা ও সমন্বয়হীনতার প্রতিচ্ছবি।
যদি শেষ মুহূর্তে সমঝোতা না হয়, তাহলে দলটি নির্বাচনে কার্যত নিজের পায়ে কুড়াল মারছে বলেই মনে করছেন স্থানীয়রা।বিএনপি যাতে নিজেদের মাঝে ঐক্য তৈরি করে নিজ এলাকায় ভোটের মাঠে নামেন এই প্রত্যাশা সাধারণ ভোটারদের মাঝে।