আশুলিয়া:-সাভারের আশুলিয়ায় শীর্ষ সন্ত্রাসী ও ভুমিদস্যু এম এ মতিন ও তার স্ত্রী মরিয়ম বেগমকে গ্রেপ্তারের দাবিতে মানববন্ধন কর্মসুচী পালন করেছে ভুক্তভোগীরা। সকালে নবীনগর চন্দ্রা মহাসড়কের আশুলিয়ার বাইপাইল এলাকায় এ মানববন্ধন কর্মসুচী পালন করেন তারা। এতে ভুক্তভোগী,এলাকাবাসী ও স্থানীয় বিএনপির নেতাকর্মীরা অংশ গ্রহণ করেন।
মানববন্ধন থেকে এসময় বক্তারা বলেন,দীর্ঘ ১২ বছর ধরে আশুলিয়ার গাজীরচট প্যারাগন পোল্ট্রির সামনে ২১ বিঘা জমি নিয়ে শীর্ষ ভুমি দস্যু এম এ মতিন ও পিন্স আক্তার বাবলু,ইকবাল,আব্দুল মতিন,রহিম খাঁন,মিসেস রুমি,ফাহিমা মাহমুদ ও সালাউদ্দিনের মধ্যে বিরোধ চলে আসছিলো। পরে পাঁচ আগষ্ট সরকার পরিবর্তনের পরে ধামসোনা ইউনিয়ন বিএনপির সাধারন সম্পাদক ডা: আসাদউল্লাহ আহমেদ দুলালকে ওই সাত ব্যক্তি জমির পাওয়ার দেন। পাওয়ার নেয়ার পর থেকে দুলাল ডাক্তার জমিতে যাওয়ার চেষ্টা করলে রবিবার ভোর রাতে সেখানে দুর্বৃওরা ফাঁকা গুলি ছুড়ে আতঙ্কত সৃষ্টি করে। এসময় এলাকাবাসীর মাঝে চরম আতঙ্ক বিরাজ করে। পরে এঘটনায় ভুক্তভোগীরা আশুলিয়া থানায় একটি অভিযোগ দায়ের করেন। পরে এঘটনায় শীর্ষ ভুমি দস্যু ও সন্ত্রাসী এম এ মতিন ও তার স্ত্রী মরিয়ম বেগমের গ্রেপ্তারের দাবিতে আজ তারা মানববন্ধন কর্মসুচী পালন করেন। এসময় তারা এই শীর্ষ ভুমি দস্যুকে গ্রেপ্তার না করলে কঠোর আন্দোলনে যাওয়ার হুমকি দেন।
জমির মালিকরা এসময় বলেন,আশুলিয়ার গাজীরচটের শীর্ষ ভুমি দস্যু এম এ মতিন। তার কাজেই বিরোধ পূর্ণ জমি দখল করা। সেখানে জমি দখলসহ নানা অভিযোগে আশুলিয়া থানায় এম এ মতিনের নামে প্রায় অর্ধশতাধিক অভিযোগ রয়েছে। এঘটনায় ভুমি দস্যু মতিন,তার স্ত্রী মরিয়ম ইয়াসমিন ও ছেলে ওয়াসিমের নামে ভুক্তভোগীরা অভিযোগ দায়ের করেছেন আশুলিয়া থানায়।
এলাকাবাসীর আরও অভিযোগ,গাজীরচট এলাকায় এম এ মতিনের বিশাল বড় একটি উচু প্রাচীর করা বাংলো বাড়ি রয়েছে সেখানে অনেক বিলাসবহুল গাড়ি প্রবেশ করলেও এলাকার কোন ব্যক্তি সেখানে প্রবেশ করতে পারে না বাড়িতে কি আছে সেটাও কেউ জানেনা। পুরো বাড়িটি সিটি টিভি ক্যামেরা বসানো। কে বাড়ির পাশে আসলো কে বাড়ি দেখলো তিনি নজর রাখেন। এলাকাবাসী শীর্ষ এই ভুমি দস্যুর কঠোর শাস্তি দাবি করেন প্রশাসনের কাছে।
এদিকে বছর খানেক আগে আশুলিয়ার চারাবাগ এলাকায় জমি দখল করতে গিয়ে এম এ মতিন, তার স্ত্রী ও ছেলেকে গণপিটুনি দেয় স্থানীয় জনতা। পরে পুলিশ গিয়ে তাকে উদ্ধার করে হাসপাতালে নেয়। এর পরে আবারও মতিন তৎকালিন সরকারের ক্ষমতার দাপট দেখিয়ে গাজিরচট এলাকায় ত্রাস সৃষ্টি করেন।